সিলেট গ্যাস ফিল্ডে পুরনো একটি কূপে নতুন গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। ৭ নম্বর কূপের ১,২০০ মিটার গভীরতায় পাওয়া এই গ্যাস থেকে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। দেশে চলমান জ্বালানি সংকটের সময়ে এই আবিষ্কার নতুন আশার সঞ্চার করেছে।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের (এসজিএফএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান মঙ্গলবার জানান, ৭ নম্বর কূপের একটি স্থানে নতুনভাবে গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। এর আগে, ১৪ আগস্ট একই কূপের আরও একটি স্থানে ২,০১০ মিটার গভীরতায় গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়, যা থেকে দৈনিক ৬-৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে। বর্তমানে সিলেট গ্যাস ফিল্ডের কূপগুলো থেকে দৈনিক প্রায় ৬০-৭০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়।
এছাড়া, চলতি বছরের ২৪ মে সিলেটের কৈলাশটিলা গ্যাসক্ষেত্রের ৮ নম্বর কূপে আরও গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়, যা থেকে দৈনিক ২১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ হচ্ছে।
জানা যায়, সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেডের উৎপাদনে থাকা কূপগুলো থেকে এখন প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। চলতি বছরের মধ্যে আরও কয়েকটি প্রকল্পের কাজ শেষ করে তারা সেই উৎপাদনকে ১৫০ মিলিয়ন ঘনফুটে নিয়ে যেতে চায়।
এসজিএফএল-এর তথ্যমতে, সিলেট অঞ্চলের গ্যাসক্ষেত্রগুলোতে অনুসন্ধান ও খননের কাজ অব্যাহত রয়েছে। ২০২৩ সালের প্রথম দিকে শুরু হওয়া খনন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নতুন কূপগুলো থেকে পাওয়া গ্যাস দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে বড় ভূমিকা রাখবে।
২০২৫ সালের মধ্যে উৎপাদন বৃদ্ধি করে প্রতিদিন ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে এসজিএফএল।
অনলাইন ডেস্ক